এপিকালচার (Apiculture)
মৌমাছি পালন ফলিত প্রাণীবিজ্ঞান এর একটি শাখা। মৌমাছি কে তাদের প্রকৃতিক পরিবেশ থেকে এনে বৈজ্ঞানিক উপায়ে চাষ ও মধুসংগ্রহ করার বিদ্যাকে এপিকালচার (অঢ়রপঁষঃঁৎব) বা মৌমাছি পালন বিদ্যা বলে। মৌমাছি পালনের জন্য ভারতীয় জাতের মৌমাছি সবচেয়ে বেশি উপযোগী।
০১. মৌমাছি কোন পর্বের প্রাণী?
উত্তর: মৌমাছি হলো আর্থোপোডা পর্বের ইনসেক্টা শ্রেণীর হাইমেনোপটেরা বর্গের একটি পতঙ্গ।
০২. মৌচাক বা মৌমাছির পরিবার:
একটি মৌচাক বা পরিবারে তিন ধরনের মৌমাছি থাকে।
১. রাণী মৌমাছি, ২. পুুরুষ মৌমাছি ও ৩. কর্মী মৌমাছি।
০৩. রাণী মৌমাছি: রাণী মৌমাছি আকারে সবচেয়ে বড়। এর পেট বেশ লম্বা ও প্রশস্ত এবং ডানা দুটো ছোট। ডিম পাড়া এর প্রধান কাজ। একটি চাকে মাত্র একটি রাণী মৌমাছি থাকে। এরা জীবনে একবারই কিন্তু একাধিক পুরুষ মৌমাছির সাথে মিলিত হয় এবং গবেষকদের মতে সে সংখ্যা ৫০ টি পর্যন্ত হতে পারে। একটি রাণী মৌমাছি জন্মের এক সপ্তাহের মধ্যেই কিছু পুরুষ ও কিছু কর্মি মৌমাছি নিয়ে আকাশে উড়ে যায়। মিলন শেষে রাণী কর্মি সহ চাকে ফিরে আসে এবং দিনে প্রায় ১৫০০ টি ডিম পাড়ে। রাণী মৌমাছি জীবনে একবার মিলিত হলেও এর শুক্রাণুধাণীতে প্রচুর পরিমান শুক্রাণু জমা রাখতে পারে। রাণী মৌমাছি দুই ধরনের ডিম পাড়ে। নিষিক্ত ডিম (শুক্রাণু মিশানো) ও অনিষিক্ত ডিম (শুক্রাণু অমিশানো)। নিষিক্ত ডিম থেকে জন্ম হয় নতুন রাণী মৌমাছির। একটি রাণী মৌমাছির জীবনকাল ২/৩ বছর।
০৪. পুরুষ বা রাজা মৌমাছি: এরা আকারে মধ্যম আকৃতির। এদের চোখ বড় এবং হুল নেই। এরা মধু সংগ্রহ করে না, প্রজননে অংশগ্রহণ করা এদের প্রধান কাজ। এরা খুব অলস প্রকৃতির। একটি পুরুষ মৌমাছির জীবনকাল দেড় থেকে দুই মাস।
০৫. শ্রমিক বা কর্মি মৌমাছি: এরা স্ত্রী তবে বন্ধ্যা অর্থাৎ ডিম পারে না। এরা সবচেয়ে ক্ষুদ্র আকৃতির এবং হুল আছে। মৌচাক তৈরী ও মধু সংগ্রহ করা এদের প্রধান কাজ। এদের জন্ম নিষিক্ত ডিম থেকে এবং আয়ুষ্কাল প্রায় একমাস।
০৬. মৌচাক: মৌচাক মোম দিয়ে তৈরী।