পরিমাপ:
গবংঁৎবসবহঃ:
দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটি কাজেই আমাদের সঠিক মাপজোখের প্রয়োজন হয়। প্রতিনিয়ত আমাদের ওজন, উচ্চতা, সময় বা তাপমাত্রা প্রভৃতির পরিমাণ নির্ণয় করতে হয়। আর, সঠিক মাপজোখের মাধ্যমে কোন কিছুর পরিমান নির্ণয় করাই হলো পরিমাপ। সঠিক মান বা পরিমাণ নির্ণয়ে পরিমাপের প্রয়োজনীয়ত অপরিসীম।
রাশি: আমরা যা কিছু পরিমাপ করি, তাকে সাধারণত রাশি বলে। অন্য কথায় বলতে গেলে ভৌত জগতের যা কিছু পরিমাপ করা যায় তাই রাশি। যেমন: টেবিলের দৈর্ঘ পরিমাপ করার ক্ষেত্রে দৈর্ঘ হলো একটি রাশি। আবার কোন কিছুর উচ্চতা পরিমাপের ক্ষেত্রে উচ্চতাও একটি রাশি। রাশিকে পরিমাপের জন্য রয়েছে বিভিন্ন প্রকার একক। রাশি দুই প্রকার। যথা:
মৌলিক রাশি: যে রাশি দ্বারা কোন কিছুকে একটি মাত্র একক দ্বারা সরাসরি প্রকাশ করা যায় তাকে মৌলিক রাশি বলে। অর্থাৎ যে রাশিগুলো স্বাধীন ও নিরপেক্ষ এবং পরিমাণ নির্ণয়ে অন্য কোন রাশির উপর নির্ভর করে না তাদের মৌলিক রাশি বলে।
মৌলিক রাশি সাতটি। যথা: দৈর্ঘ, ভর, সময়, তাপমাত্রা, তরিৎ প্রবাহ, দীপন ক্ষমতা এবং পদার্থের পরিমাণ।
যৌগিক রাশি বা লদ্ধ রাশি: যে সকল রাশিকে পরিমাপ করার ক্ষেত্রে একটি মাত্র একক দ্বারা এর পরিমাপকে প্রকাশ করা যায় না অর্থাৎ যে রাশিগুলো মৌলিক রাশির উপর নির্ভর করে বা মৌলিক রাশি থেকে লাভ করা যায় তাদের লদ্ধ রাশি বা যৌগিক রাশি বলে। যেমন: একটি কক্ষের ক্ষেত্রফল নির্ণয় করার জন্য দৈর্ঘ ও প্রস্থ নামক দুটি এককের গুণফলের ওপর নির্ভর করতে হয়। এক্ষেত্রে ক্ষেত্রফল একটি যৌগিক রাশি। একই ভাবে কোন কিছুর আয়তন পরিমাপের ক্ষেত্রে তিনটি এককের উপর নির্ভর করতে হয়। মৌলিক রাশিগুলো বাদে সবকিছুই যৌগিক রাশি।