জাতীয় সংগীত:
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটির প্রথম ১০ চরণ বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত।
সর্ম্পকিত প্রশ্ন:
০১. বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত কোনটি?
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি- গানের প্রথম ১০ লাইন।
০২. কবে ’আমার সোনার বাংলা’ গানটি জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয়?
১৩ জানুয়ারি, ১৯৭১।
০৩. গানটিতে মোট কতগুলো চরণ রয়েছে?
২৫ টি।
০৪. কোন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে কত লাইন বাজানো হয়?
প্রথম ০৪ লাইন।
০৫. জাতীয় সংগীতের রচয়ীতা ও সুরকার কে?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
০৬. সর্বপ্রথম কবে ’আমার সোনার বাংলা’ গানটি প্রকাশিত হয়?
১৯০৫ খ্রি. বাংলা ১৩১২ সালে সর্বপ্রথম ’বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় ’আমার সোনার বাংলা’ গানটি প্রকাশিত হয়।
০৭. বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
স্বরবিতান কাব্যগ্রন্থের গীতবিতানের স্বদেশ শীর্ষক গীত।
০৮. সর্বপ্রথম কবে কোথায় জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়?
৩ মার্চ, ১৯৭১ পল্টনের জনসভায়। জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ছাত্রনেতা শাহজাহান সিরাজ।
০৯. বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের ইংরেজি অনুবাদক কে?
সৈয়দ আলী আহসান।
১০. সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে জাতীয় সংগীতকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে?
৪নং অনুচ্ছেদের ১নং উপ অনুচ্ছেদে।
১১. বিবিসি শ্রোতা জরিপে ’আমার সোনার বাংলা গানটি’ শ্রেষ্ঠ বাংলা গান নির্বাচিত হয়-
২০০৬ সালে।
১২. ’আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’ গানটি রচনার প্রেক্ষাপট-
বঙ্গভঙ্গজনিত আন্দোলন।
১৩. বাংলাদেশের পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর কোন দেশের জাতীয় সংগীতের রচয়ীতা?
ভারত ও শ্রীলংকা।
বাংলাদেশের রণসংগীত:
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ’চল্ চল্ চল্’/ ’নতুনের গান’ শীর্ষক গানটি বাংলাদেশের রণসংগীত। ১৯৭২ সালের ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত তৎকালীন মন্ত্রীসভার প্রথম বৈঠকে গানটি বাংলাদেশের রণ সংগীত হিসেবে গৃহীত হয়।
সর্ম্পকিত প্রশ্ন:
০১. কতসালে বাংলাদেশের রণসংগীত রচীত হয়?
১৯২৯ সালে।
০২. ’নতুনের গান’ শীর্ষক বাংলাদেশের রণসংগীত গানটি কোন কাব্যগ্রন্থের অর্ন্তভুক্ত?
’সন্ধ্যা’ কাব্যগ্রন্থ।
০৩. বাংলাদেশের রণসংগীত কোন তালে রচিত?
দাদরা তাল।
০৪. কোন সামরিক অনুষ্ঠানে গানটির কত লাইন যন্ত্র সংগীতে বাজানো হয়?
২১ লাইন।
০৫. ২০০৬ সালে বিবিসি-র সর্বকালের সেরা ২০টি বাংলা গানের জরিপ তালিকায় গানটির স্থান কততম?
১৮তম।
০৬. গানটি কাজী নজরুল ইসলাম কোথায় রচনা করেন?
ঢাকায় সৈয়দ আবুল হোসেনের বাসায়।
০৭. ’নতুনের গান’ শিরোনামে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়-
’শিখা পত্রিকায়’।
বাংলাদেশর জাতীয় পতাকা:
আয়তকার গাঢ় সবুজ ক্ষেত্রের মাঝে লাল বৃত্ত হলো বাংলাদেশের মানচিত্র। এখানে, গাঢ় সবুজ বর্ণ তারুণ্যের ও বিস্তৃত সবুজ পরিবেশের প্রতীক এবং লাল বৃত্ত রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ছিনিয়ে আনা নতুন সূর্যের প্রতীক।
সর্ম্পকিত প্রশ্ন:
০১. বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রং কেমন?
সবুজ আয়তক্ষেত্রের মাঝে লাল বৃত্ত।
০২. বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ: প্রস্থের অনুপাত এবং দৈর্ঘ: লাল বৃত্তের অনুপাত কত?
দৈর্ঘ: প্রস্থ= ১০:৬ এবং দৈর্ঘ: লালবৃত্ত= ৫:১
০৩. সবুজ রং কিসের প্রতিক?
সবুজ প্রকৃতি ও তারুণ্য।
০৪. লাল রং কিসের প্রতিক?
উদীয়মান সূর্য ও মহান মুুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারীদের রক্তের প্রতিক।
০৫. বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সাথে কোন দেশের জাতীয় পতাকার মিল আছে?
জাপানের
০৬. বর্তমান জাতীয় পতাকার ডিজাইনার কে?
কামরুল হাসান।
০৭. কামরুল হাসান পরিমার্জিত বর্তমান ডিজাইনের জাতীয় পতাকা কবে সরকারী ভাবে গৃহীত হয়?
১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারী
০৮. কে, কখন এবং কোথায় প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন?
১৯৭১ সালের ২রা মার্চ, তৎকালীন ডাকসু ছাত্রনেতা ভিপি আ.স.ম আবদুর রব ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্রসভায় প্রথম মানচিত্র খচিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
০৯. জাতীয় পতাকা দিবস কত তারিখ?
২রা জানুয়ারী
১০. মানচিত্র খচিত পতাকার ডিজাইনার কে ছিলেন?
শিব নারায়ণ দাশ।
১১. মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতীয় পতাকার রং কেমন ছিল?
লাল বৃত্তের মাঝে হলুদ মানচিত্র
বাংলাদেশর জাতীয় কবি:
বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি ১৮৯৯ সালের ২৫ মে বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেণ।
সর্ম্পকিত প্রশ্ন:
১. কত সালে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়া হয়?
১৯৭৬ সালে।
২. কাজী নজরুল ইসলামের পিতা-মাতার নাম কী?
পিতা: কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা: জাহেদা খাতুন।
৩. বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কবে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ঢাকায় আনা হয়?
১৯৭২ সালের ২৪ মে।
৪. কত বছর বয়সে কবি দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হন?
মাত্র ৪২ বছর বয়সে।
৫. কবে কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়?
১৯৭৬ সালে।
৬. কবি কাজী নজরুল ইসলাম কবে মৃত্যুবরণ করেন?
১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট (ঢাকায়)।
৭. কবিকে সমাহিত করা হয় কোথায়?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে।
বাংলাদেশের জাতীয় প্রতিক:
উভয় পাশে ধানের শীষ বেষ্টিত পানিতে ভাসমান শাপলা ফুলের শীর্ষ চূড়ায় কুঁড়িসহ পরস্পর সংযুক্ত তিনটি পাটপাতা এবং এর উভয় পাশে দুটি করে মোট চারটি তারকা বেষ্টিত প্রতীক হলো- বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক।
সর্ম্পকিত প্রশ্ন:
১. জাতীয় প্রতীকের ডিজাইনার কে?
কামরুল হাসান।
২. জাতীয় প্রতীকে কী ফুটে উঠেছে?
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দৃশ্য ও অর্থনিতীর বৈশিষ্ট।
রাষ্ট্রিয় মনোগ্রাম:
লাল বৃত্তের মাঝে হলুদ রঙের বাংলাদেশের মানচিত্র- বৃত্তের উপরে লেখা ‘গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ’ ও নিচে লেখা ’সরকার’ এবং বৃত্তের উভয় পাশে দুটি করে মোট চারটি তারকা বেষ্টিত প্রতিক হলো বাংলাদেশের রাষ্ট্রিয় মনোগ্রাম।
অন্যান্ন:
জাতীয় পার্ক: শহীদ জিয়া শিশু পার্ক
জাতীয় খেলা: কাবাডি
জাতীয় পশু: রয়েল বেঙ্গল টাইগার
জাতীয় স্মৃতিসৌধ: সন্মিলীত প্রয়াস
জাতীয় গ্রন্থাগার: শেরেবাংলা নগর, আগারগাঁও, ঢাকা।
জাতীয় জাদুঘর: জাতীয় জাদুঘর, শাহবাগ, ঢাকা।
জাতীয় বিমানবন্দর: হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতীক বিমানবন্দর।
জাতীয় ফল: কাঁঠাল
জাতীয় গাছ: আমগাছ
জাতীয় পাখি: দোয়েল
জাতীয় সংবাদ সংস্থা: বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা।
জাতীয় মাছ: ইলিশ
জাতীয় চিড়িয়াখানা: ঢাকা মিরপুর চিড়িয়াখানা
জাতীয় ও স্বাধিনতা দিবস: ২৬ শে মার্চ
জাতীয় মসজিদ: বায়তুল মোকাররম মসজিদ
জাতীয় বন: সুন্দরবন