উপজাতিদের অবস্থান:
উপজাতি | অবস্থান: |
চাকমা | চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান। |
মারমা | কক্সবাজার, বান্দরবান ও পটুয়াখালী। |
গারো | নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, শেরপুর। |
ত্রিপুরা | খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি জেলা। |
সাঁওতাল | বগুড়া, রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর। |
খাসিয়া | সিলেটের জৈয়ন্তিকা পাহাড়। |
খুমী | বান্দরবানের লামা, রুমা ও থানচি থানা। |
হাজং | ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা। |
মুরং | বান্দরবান জেলা |
কুকি | রাঙ্গামাটি |
লুসাই | পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল |
পাংখো | বান্দরবান |
মণিপুরী | সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার পাহাড়ি অঞ্চল। |
রাজবংশী | রংপুর অঞ্চল |
মগ | বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, পটুয়াখালী। |
রাখাইন | পটুয়াখালী ও কক্সবাজার। |
ওঁরাও | বগুড়া ও রংপুর |
বনজোগী | বান্দরবানের গহীন অরণ্যে |
তনচংগা | রাঙ্গামাটি |
হদি/ হাদুই | নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা, বিরিশিরি ও শ্রীবর্দী |
- উপজাতি এমন একটি জনগোষ্ঠি যারা আলাদা রাষ্ট্র গঠন করতে না পারলেও আলাদা নিজস্ব একটি সংস্কৃতি ধারন করে।
- সংবিধানের ২৩(ক) অনুচ্ছেদে উপজাতি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়র কথা উল্লেখ আছে।
- বাংলাদেশে উপজাতি জনসংখ্যা প্রায় ১৬ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৭৮ জন যা মূল জনসংখ্যার 0.৯৯%।
- বৃহত্তম উপজাতি – চাকমা।
- দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজাতি – সাঁওতাল।
- সর্বাধিক উপজাতি বাস করে – রাঙ্গামাটি।
- সবচেয়ে কম জনসংখ্যার উপজাতি – খুমি ও চক।
- বহুপতি গ্রহণকারী উপজাতি – টোডা।
- একমাত্র মুসলিম উপজাতি – পাঙন।
- মাতৃপ্রধান উপজাতি – গারো, খাসিয়া।
- উপজাতিদের ধর্ম – অধিকাংশ বৌদ্ধ।
- উপজাতিদের মোট ভাষার সংখ্যা – ৩২টি।
- ত্রিপুরা উপজাতির ভাষা – ককবরক।
- ওরাও উপজাতির ভাষা – কুরুখ।
- বৈসাবি : ত্রিপুরাদের ’বৈসুক’ মারমাদের ‘সাংগ্রাই’ এবং চাকমাদের ’বিঝু’ – এই তিনটি ধর্মীয় উৎসবের প্রথম অক্ষর মিলে বৈসাবি বাংলাদেশের উপজাতিদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এবং বর্ষবরণ উৎসব।
- চাকমাদের ধর্ম বৌদ্ধ এবং এদের সমাজ ব্যবস্থা পিতৃতান্ত্রিক। এরা পাহাড়ের ঢালে ও উপত্যকায় ঝুম চাষ করে।
- উপজাতিদের মধ্যে চাকমারা শিক্ষা-দীক্ষায় অগ্রগামী; এদের শিক্ষার হার ৭২%।
- চাকমাদের গ্রামকে বলে আদাম। গ্রামের প্রধানকে বলা হয় কারবারি।
- চাকমাদের কয়েকটি গ্রাম মিলে তৈরি হয় মৌজা- মৌজা প্রধান হলেন হেডম্যান।
- বিবিাহ বিচ্ছেদ ও বহুবিবাহ প্রচলিত- সাওতালদের মাঝে।
- সাওতালদের প্রধান উৎসব- সোহরাই উৎসব।
- সাওতালদের আদি দেবতা- সিং বোঙ্গা। এদের নিজস্ব ধর্ম আছে কিন্তু ধর্মগ্রন্থ নেই।
- পাহাড়ি গাড়োরা ’অচ্ছিক’ এবং সমতলের গাড়োরা লামদানী নামে পরিচিত।
- ময়মনসিংহের গাড়ো পাহাড়ের নামানুসারে এই উপজাতির নমকরণ করা হয়েছে ’গারো’।
- গাড়োদের সমাজ- মাতৃপ্রধান। এদের ভাষার নাম- মান্দি তবে এদের কোন লিপি বা অক্ষর নেই।
- গাড়োদের ধর্মের নাম- সংসারেক। পুরোহিতকে বলা হয় ’কামাল’।
- গাড়োদের জনপ্রিয় উৎসব- ওয়ানগালা।
- ত্রিপুরাদের ভাষার নাম: ককবরক ও সমাজব্যাবস্থা পিতৃতান্ত্রিক।
- জুমচাষকে ত্রিপুরাদের ভাষায় বলা হয় ’হোজ’।