জীবের বৈশিষ্ট:
১. চলন: জীব তার ইচ্ছানুযায়ী নড়াচড়া করতে পারে বা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারে। এমনকি উদ্ভিদও বেড়ে ওঠার সময় তার ডগা নড়াচড়া করে।
২. খাদ্য গ্রহণ: প্রতিটি জীবই জীবনধারণের জন্য খাদ্য গ্রহণ করে।
৩. প্রজনন: বংশবৃদ্ধির জন্য প্রতিটি জীবই প্রজননে অংশগ্রহন করে।
৪. রেচন: প্রতিটি জীবই তার দেহের ভিতরে উৎপাদিত বর্জ্য পদার্থ একটি বিশেষ প্রক্রিয়ায় বাইরে বের করে দেয়। এটি রেচন প্রক্রিয়া। যেমন মানুষ মুত্র ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করে।
৫. অনুভুতি: প্রতিটি জীবের অনুভুতি রয়েছে। যেমন: শরীরে সুঁচ ফুটলে আমরা ব্যাথা পাই। আবার লজ্জাবতী গাছ তার পাতা ছুলেই তা বন্ধ হয়ে যায়।
৬. শ^াস-প্রশ^াস: প্রতিটি জীব জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত শ^াস গ্রহণ ও ত্যাগ করতে থাকে।
৭. বৃদ্ধি: প্রতিটি জীব জন্মের পর থেকেই বৃদ্ধি পেতে থাকে।
৮. অভিযোজন: অভিযোজন জীবের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট। জীব যেকোনো পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে বা মানিয়ে নিতে পারে।
জীবজগতের শ্রেণিকরণ: ১৯৭৮ সালে বিজ্ঞানি মারগিউলিস ও বিজ্ঞানি হুইটেকার জীবজগৎ-কে মোট পাঁচটি রাজ্যে ভাগ করেন। রাজ্যগুলো হলো: মনেরা, প্রোটিস্টা, ফানজাই, প্লান্টি ও এ্যানিমেলিয়া।
১. মনেরা : এরা এককোষি প্রাণি এবং এদের কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না। মনেরা রাজ্যের প্রাণিগুলো অতি ক্ষুদ্র এবং অণুবিক্ষণ যন্ত্র ছাড়া এদের দেখা যায় না। উদাহরণ: রাইজোবিয়াম।
২. প্রোটিষ্টা : এরা এককোষি এবং কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে। এরা একক বা দলবদ্ধ ভাবে থাকতে পারে। উদাহরণ: অ্যামিবা, ইউগ্লেনা ইত্যাদি।
৩. ফানজাই বা ছত্রাক : এরা এককোষী বা বহুকোষি হতে পারে। কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে। এদের দেহে ক্লোরোফিল নেই তাই এরা পরভোজী। উদাহরণ: মাশরুম, ইস্ট, পেনিসিলিয়াম ইত্যাদি।
৪. প্লান্টি : সকল সবুজ উদ্ভিদ এ রাজ্যের অর্ন্তভুক্ত। এদের দেহে ক্লোরোফিল থাকে তাই এরা নিজের খাদ্য নিজেই তৈরি করতে পারে। এরা এককোষী বা বহুকোষী হতে পারে। কোষপ্রাচীর সেলুলোজ দ্বারা নির্মিত। উদাহরণ: ফার্ণ, আম, জাম, কাঁঠাল ইত্যাদি।
৫. এ্যানিমেলিয়া: এদের কোষে ক্লোরোফিল বা প্লাস্টিড থাকে না। তাই এরা নিজের খাদ্য নিজেরা তৈরি করতে পারে না। খাদ্যের জন্য এরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল। উদাহরণ: মাছ, পাখি, গরু, মানুষ ইত্যাদি।