February 23, 2025 5:17 am
25310972
25310960

ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন (Wireless Communication):

  • Wi-Max, বা Worldwide Interoperability for Microwave Access, একটি দ্রুত এবং কার্যকরী ওয়্যারলেস যোগাযোগ প্রযুক্তি, যা 1990-এর দশকের শেষভাগে বিকাশ শুরু করে। এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল উচ্চ গতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সার্ভিস প্রদান করা, বিশেষত তড়িৎ সংযোগের মাধ্যমে। সাধারন Wi-Fi প্রযুক্তির তুলনায়, Wi-Max দুর্বল সিগন্যাল ক্ষেত্রেও দারুণ কার্যকরী হয়ে ওঠে।
  • ২০০১ সালে IEEE 802.16 স্ট্যান্ডার্ড প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে Wi-Max প্রযুক্তির প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এটি মূলত একাধিক ব্যবহারকারীর জন্য সেবা প্রদান করার লক্ষ্যে নির্মিত হয়েছিল।
  • ২০০৫ সালে Wi-Max ফোরাম প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা Wi-Max এর মূল বৈশিষ্ট্য ও পারফরম্যান্স উন্নয়নের জন্য কাজ করে। এই সময়ে, বিভিন্ন নির্মাতা এবং গবেষকরা Wi-Max প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং বাস্তবায়নের জন্য একত্রিত হয়।
  • ২০০৬ সালে, প্রথম Wi-Max সার্ভিস চালু হয়, যার মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সুবিধা গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলে দ্রুত পৌঁছাতে সক্ষম হয়। তাছাড়া, ২০০৭ সালে Wi-Max 802.16e স্ট্যান্ডার্ড চালু হয়, যা মোবাইল সংযোগের সুবিধা প্রদান করে।
  • ২০১১ সালে, Wi-Max প্রযুক্তিটি কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়, কারণ LTE (Long-Term Evolution) প্রযুক্তি দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে। যদিও Wi-Max-এর কিছু জায়গায় এখনও ব্যবহার হচ্ছে, এটি ধীরে ধীরে বাজার থেকে ইভেন্টার গতি হারাতে থাকে। বর্তমানে, Wi-Max প্রযুক্তি কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে যেমন দূরবর্তী ও গ্রামীণ এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হচ্ছে।
  • যদিও Wi-Max প্রযুক্তির প্রচুর সুবিধা রয়েছে, কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এটি আবহাওয়া পরিস্থিতির প্রতি সংবেদনশীল, এবং বৃষ্টির সময় সিগন্যাল শক্তি দুর্বল হতে পারে। এছাড়া, শহরাঞ্চলে সিগন্যাল ম্লান হতে পারে বড় বড় ভবনের কারণে। তবে, নিউটন-ফাইভ-প্রান্ত, সেবা প্রদানকারী দ্বারা উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এই সীমাবদ্ধতাগুলোকে মেটানোর প্রচেষ্টা চলছে।

Share this post:

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *