সভ্যতা:
আদিম যুগে মানুষ কৃষিকাজ জানত না। বনে বনে ঘুরে ফলমূল প্রভৃতি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে জীবন-ধারণ করত তারা। কালক্রমে মানুষ পাথরের হাতিয়ার তৈরি করতে শিখে এবং এক পর্যায়ে আগুনের ব্যাবহারও আবিষ্কার করে ফেলে তারা। নিজেদের প্রয়োজনেই প্রাচীন কাল থেকে দলবদ্ধ ভাবে বসবাস করত মানুষ এবং এক পর্যায়ে এসে সমাজ ব্যাবস্থা গড়ে তোলে, উন্নত হয় সংস্কৃতি; নির্মাণ করে ঘর-বাড়ি এবং এভাবেই শুরু হয় মানব সভ্যতার। অধিকাংশ সভ্যতা ছিল কৃষিভিত্তিক এবং গড়ে উঠেছিল নদীতিরে। তবে কিছু সভ্যতা নগরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
০১. পাথর যুগের প্রথম পর্যায়কে বলা হতো-
পুরনো পাথরের যুগ বা পুরোপলীয় যুগ।
০২. কৃষিভিত্তিক পাথর যুগকে বলা হয়-
নবোপলীয় যুগ বা নতুন পাথরের যুগ।
মেসোপটেমীয়া সভ্যতা:
মেসোপটেমীয়া হলো পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতা। গ্রীক মেসোপটেমীয়া শব্দের অর্থ হলো দুই নদীর মধ্যবর্তী স্থান। খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০০ অব্দে ইরাকের টাইগ্রীস ও ইউফ্রেটিস (পূর্বনাম দজলা ও ফোরাত) নদীর মধ্যবর্তী উর্বর অঞ্চলে কতগুলো সভ্যতা গড়ে উঠে। একই অঞ্চলে গড়ে ওঠা সভ্যতাগুলোকে একত্রে মেসোপটেমীয়া সভ্যতা বলে। মেসোটটেমীয়া সভ্যতার অর্ন্তভূক্ত ছিল: সুমেরীয় সভ্যতা, ব্যাবিলনীয় সভ্যতা, অ্যাশেরীয় সভ্যতা, ক্যালডীয় সভ্যতা।
সুমেরীয় সভ্যতা:
- সর্বাধিক প্রাচীন সভ্যতা। চরম উন্নতি ঘটে ৪০০০ থেকে ৫০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে।
- ’কিউনিফর্ম’ নামক সর্বপ্রাচীন অক্ষরভিত্তিক বর্ণলিপি আবিস্কার ও লেখার কাজে ব্যবহার।
- কিউনিফর্ম লিপিতে প্রাচীনতম গ্রন্থ ’গিলগামেশ’ মহাকাব্য।
- ধর্ম মন্দিরকে বলা হত- জিগুরাত।
- চন্দ্রপঞ্জিকা ও চাকার আবিস্কার ও ব্যবহার করে।
ব্যাবিলনীয় সভ্যতা:
- খ্রিস্টপূর্ব ২৩০০ অব্দে আরব থেকে আগত সেমীয়গণ সুমেরীয় সভ্যতা ধ্বংস করে এবং গড়ে তোলে ব্যাবিলনীয় সভ্যতা ও অ্যাসিরীয় সভ্যতা।
- ব্যাবিলনীয় সভ্যতার প্রতিষ্ঠাতা অ্যামোরাইট নেতা হাম্বুরাবি। তিনি ছিলেন পৃথিবীর প্রথম লিখিত আইন প্রনেতা এবং হাম্বুরাবি কোড নামক আইন প্রণয়ন করেন।
- পৃথিবীর প্রাচিনতম মানচিত্র পাওয়া গিয়েছে ব্যবিলনের উত্তরের গাথুর শহরে। এটি ছিল ভ্রমণকারীদের জন্য পথনির্দেশক মানচিত্র।
অ্যাসেরীয় সভ্যতা:
- ব্যাবিলনের ২০০ মাইল উত্তরে টাইগ্রিস নদীর তীরে গড়ে ওঠে অ্যাসেরীয় সভ্যতা।
- রাজধানি -নিপ্পুর।
- ইতিহাসে অ্যাসেরীয়রা সমর রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। এরা ছিল যোদ্ধা জাতি এবং এরাই পৃথিবীর প্রথম গোলন্দাজ বাহিনী গঠন করে ও লোহার তৈরি অস্ত্র ব্যবহার করে।
- অ্যাসিরিয়রা প্রথম বৃত্তকে ৩৬০০ তে ভাগ করে।
- অ্যাসিরিয় সভ্যতা ধ্বংস হয় ৬১২ অব্দে।
ক্যালডীয় সভ্যতা:
- মেসোপটেমীয়ার শেষ ধাপ ক্যালডীয় সভ্যতা ব্যবিলন শহরকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে।
- প্রতিষ্ঠাতা/ স্থপতি: নেবুচাঁদনেচার।
- নেবুচাঁদনেচার ব্যাবিলন শহরকে ঘিরে ৫৬ মাইল লম্বা চাররথ চলার উপযোগী দেয়াল তৈরি করেন এবং দেয়ালের উপর গড়ে তোলেন ব্যাবিলনের শূন্যোদ্যান।
- ক্যালডীয়রা সপ্তাহকে সাত দিনে ও দিন রাত্রিকে ২৪ ঘন্টায় ভাগ করেন।
- এ যুগের জ্যোর্তিবিদগণ ১২টি নক্ষত্র পুঞ্জের সন্ধান পান এবং এ থেকে ১২টি রাশিচক্রের সৃষ্টি হয়।
মিশরীয় সভ্যতা:
খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০০ অব্দে আফ্রিকা মহাদেশের উত্তর-পূর্ব অংশে নীল নদের অববাহিকায় গড়ে ওঠে মিশরীয় সভ্যতা। ইতিহাসের জনক হেরোডোটাস মিশরকে বলেছেন নীল নদের দান। প্রাথমিক পর্যায়ে খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০০-৩২০০ অব্দ পর্যন্ত দুটি অংশে উত্তর মিশর (নিন্ম মিশর) ও দক্ষিণ মিশর (উচ্চ মিশর) নিয়ে মিশরীয় সভ্যতার সূত্রপাত হয়। এই সময়টাকে মিশরের ইতিহাসে প্রাক-রাজবংশীয় যুগ বলে।
পরবর্তীতে খিষ্টপূর্ব ৩২০০ অব্দে, নিন্ম ও উচ্চ উভয় মিশরকে একত্রিত করে নারমার বা মেনেস হন মিশরের প্রথম নরপতি, পুরোহিত বা প্রথম ফারাও।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- মোট আয়তন প্রায় চার লক্ষ বর্গমাইল।
- মিশরীয় সভ্যতা ২৫০০ বছরেরও বেশি সময় স্থায়ী হয়েছিল। মেনেসের নেতৃত্বে গোড়াপত্তনের পর প্রায় তিন হাজার বছর ধরে স্বমহিমায় উজ্জল ছিল মিশরীয় সভ্যতা। পরবর্তীতে খ্রিষ্টপূর্ব দশম শতকে লিবিয়ার এক বর্বর জাতী মিশর দখল করে নেয়। ৬৭০-৬৬২ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে অ্যাসিরীয়রা মিশরের সিংহাসন দখল করে নেয় এবং ৫২৫ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে পারস্য মিশর দখল করে নিলে প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার যবনিকাপাত ঘটে।
- ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ নির্মাতা বলা হয়- মিশরীয়দের।
- মিশরীয় সভ্যতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান পিরামিড তৈরি।
- সবচেয়ে বড় পিরামিড মিশরের রাজা প্রথম ফারাও বা খুফুর পিরামিড।
মিশরের রাষ্ট্র কৃষি ও সমাজ ব্যবস্থা:
- প্রাক রাজবংশীয় যুগে মিশর ’নোম’ নামক কতগুলো ছোট ছোট নগর রাষ্ট্রে বিভক্ত ছিল।
- মিশরের প্রথম ফারাও মেনেস বা নারমার ৩২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে সমগ্র মিশরকে একত্রিত করে। মেনেসের রাজধানী ছিল ’মেম্ফিস’।
- মিশরীয় ’পের-ও’ শব্দ থেকে ফারাও শব্দের উৎপত্তি। ফারাওরা অত্যন্ত ক্ষমতাশালী ছিল এবং তারা নিজেদের সূর্যদেবতার বংশধর মনে করত।
- উর্বর নীল নদের তীরে মিশরের অর্থনীতি ছিল মূলত কৃষি নির্ভর। পেশার উপর ভিত্তি করে মিশরের সমাজে কয়েকটি শ্রেণি তৈরি হয়েছিল। যেমন-রাজপরিবার, পুরোহিত, অভিজাত, লিপিকার, ব্যবসায়ী, শিল্পি এবং কৃষক ও ভ’মিদাস। মিশরে উৎপাদিত ফসলের মধ্যে ছিল গম, যব, তুলা ইত্যাদি।
ধর্মীয় অবস্থা:
- মিশরীয়রা জড়বস্তুর পূজা করত। মূর্তি পূজা আর জীবজন্তুর পূজাও করত তারা। মিশরীয়রা বিশ্বাস করত সূর্যদেবতা ’রে’ বা ’আমন রে’ এবং প্রাকৃতিক শক্তি, শস্য ও নীলনদের দেবতা ’ওসিরিস’ সন্মিলিতভাবে সমগ্র পৃথিবী পরিচালনা করে। তাদের জীবনে সূর্যদেবতা ’রে’– এর গুরুত্ব অনেক ছিল বেশি।
- মিশরীয়রা মনে করত মানুষ মৃত্যুর পর একদিন আবার বেঁচে উাঠবে তাই মৃত দেহকে তাজা রাখার জন্য মমি করে রাখত এবং মমি সংরক্ষণের জন্য তারা পিরামিড তৈরি করেছিল। মিশরের সবচেয়ে বড় পিড়ামিড ফারাও খুফুর পিরামিড।
মিশরীয়দের অবদান:
- ভাস্কর্য শিল্পে মিশরীয়দের জুরি মেলা ভার। মিশরের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাস্কর্য হচ্ছে গিজার স্ফিংক্স। স্ফিংক্স হচ্ছে এমন একটি ভাস্কর্য যার দেহটা সিংহের কিন্তু মুখ মানুষের।
- মিশরীয়রা ২৪টি ব্যঞ্জনবর্নের ’হায়ারোগ্লিফিক’ নামক চিত্রলিপি উদ্ভাবন করেছিল। হায়রোগ্লিফিক শব্দের অর্থ- পবিত্র লিপি।
- তারা কাগজ বানিয়ে কাগজের উপর লিখত। গ্রীকরা এই কাগজের নাম দেন ’প্যাপিরাস’ এবং এই ’প্যাপিরাস’ শব্দ থেকেই পেপার শব্দের উৎপত্তি।
- মিশরীয়রা জ্যামিতি ও পাটিগণিতের ব্যাবহার আয়ত্ত করেছিল। তারা যোগ, বিয়োগ ও ভাগের ব্যবহার জানত।
- তারা সৌর পঞ্জিকা আবিস্কার করেছিল। ৩০ দিনে মাস, ৩৬৫ দিনে বছর এ হিসাবও আবিস্কার করেছিল মিশরীয়রা।
সিন্ধু সভ্যতা:
হরপ্পা সংস্কৃতি বা হরপ্পা সভ্যতা খ্যাত সিন্ধু সভ্যতা গড়ে উঠেছিল সিন্ধু নদের অববাহিকায়। বাঙালি প্রত্নতত্ত্ববিদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের লারকানা জেলার মহেঞ্জোদারো শহরের উঁচু ঢিবি খননের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে সিন্ধু সভ্যতার সন্ধান পাওয়া যায়। একই সময়ে ১৯২২-১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে দয়ারাম সাহানীর নেতৃত্বে পাঞ্জাবের মন্টোগোমারি জেলার হরপ্পা নামক স্থানেও প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া যায়। পরবর্র্তীতে জন মার্শালের নের্তৃত্বে খনন কার্য সম্পন্ন করা হয় এবং অনেক পুরাতত্ত্ব আবিস্কৃত হয়।
সিন্ধু সভ্যতায় আবিস্কৃত শহরগুলোর মধ্যে হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারো সবচেয়ে বড় শহর। শহরের বাড়িঘর পোড়া মাটি বা রোদে পোড়ানো মাটি দিয়ে তৈরি।
সিন্ধু সভ্যতার অর্থনীতি ছিল কৃষি নির্ভর। এছাড়াও তারা পশুপালন, মৃৎপাত্র, অলংকার নির্মাণ, বয়ন শিল্প ও পাথরের কাজে পারদর্শী ছিল।
সিন্ধু সভ্যতায় মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। পরিবারগুলো ছিল একক পরিবার। নারীদের পাশাপাশি পুরুষেরাও অলংকার ব্যবহার করত।
সিন্ধুর অধিবাসিদের ধর্মীয় জীবন বা ধর্মীয় বিশ^াস সর্ম্পকে তেমন কোন ধারনা পাওয়া যায় নি। তবে অসংখ্য নারী মূর্তি আবিস্কৃত হয়েছে সিন্ধু সভ্যতায়। তা থেকে অনুমান করা হয় তারা নারী মূর্তির পূজা করত।
সিন্ধু সভ্যতার লোকেরা কুমারের মাটির চাকার সাহায্যে সুন্দর মাটির পাত্র বানাতে পারত। তারা দ্রব্যের ওজন পরিমাপ করতে জানত এবং তারা দাগ কাটা স্কেল ব্যবহার করেছিল। সিন্ধুর অধিবাসীরা ধাতুর সাহায্যে অস্ত্র, অলংকার তৈরি করত এবং তারা তামা ও টিনের মিশ্রণে ব্রোঞ্জের ব্যবহারে পারদর্শী ছিল।
গ্রিক সভ্যতা:
গ্রিস উপদ্বীপের মূল ভূভণ্ড, ক্রিট দ্বীপ, এশিয়া মাইনরের পশ্চিম উপকূল এবং ঈজিয়ান সাগরের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপ নিয়ে খ্রিস্টপূর্ব ১২০০ অব্দে গড়ে উঠে গ্রিক সভ্যতা। গ্রিক সভ্যতার সাথে দুইটি সংস্কৃতির নাম জড়িত –হেলেনিক ও হেলেনিস্টিক। প্রধান শহর এথেন্সকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে হেলেনিক সংস্কৃতি। মিশরের আলেকজান্দ্রিয়াকে কেন্দ্র গ্রিক ও অগ্রিক সংস্কৃতির সংমিশ্রণে জন্ম হয় হেলেনিস্টিক সংস্কৃতির।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- গণতান্ত্রিক নগরী এথেন্স ও সামরিক নগরী স্পার্টার মধ্যবর্তীকার সংঘটিত যুদ্ধ- পেলোপনেশিয়ার যুদ্ধ।
- গণতন্ত্রের সূতিকাগার হলো গ্রিস এবং পৃথিবীর প্রাচীনতম গণতন্ত্র সূচিত হয় এথেন্সে।
- গ্রিক সভ্যতার স্বর্ণযুগ– পেরিক্লিসের শাসনামল। তিনি ৪৬০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ক্ষমতায় এসে ৩০ বছর রাজত্ব করেন।
- দেবতাদের রাজা –জিউস।
- সূর্য, আলো, চিকিৎসা ও সঙ্গিতের দেবতা -অ্যাপোলো।
- Goddess of Love & Beauty -আফ্রোদিতি।
- Goddess of War -এরিস।
- Goddess of Wisdom -এথেনা।
- Goddess of Fertility -আরটেমিস।
- Goddess of Victory -নিকে।
গ্রিক দার্শনিকগণ:
জ্ঞানগুরু সক্রেটিস, প্লেটো এবং এরিস্টটল ছিলেন এ সময়কার শ্রেষ্ঠ দার্শনিক। সক্রেটিসের ছাত্র ছিল প্লেটো, প্লেটোর ছাত্র ছিলেন এরিস্টটল এবং এরিস্টটলের ছাত্র ছিলেন গ্রিক বীর আলেকজান্ডার।
- সক্রেটিসকে হেমলক পাতার বিষপানে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
- ’রিপাবলিক’ গ্রণ্থের রচয়িতা -প্লেটো।
- ’দি পলিটিক্স’ গ্রন্থের রচয়িতা -এরিস্টটল।
- জ্ঞান চর্চাকেন্দ্র ’একাডেমিয়া’ প্রতিষ্ঠা করেন -প্লেটো।
- জ্ঞান চর্চাকেন্দ্র ’লাইসিয়াম’ প্রতিষ্ঠা করেন -এরিস্টটল।
- পৃথিবীর মানচিত্র প্রথম অঙ্কন করেন- গ্রিক বিজ্ঞানীরা।
- এ সময়কালীন মহাকবি হোমার রচনা করেন- ইলিয়ড ও ওডিসি।
- ”Know Thyself” উক্তিটি করেছেন- সক্রেটিস।
রোমান সভ্যতা:
- ইতালির টাইবার নদীর তীরে খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ অব্দে গড়ে উঠে এ নগর সভ্যতা।
- রাজা রোমিউলাসের নামানুসারে নগরীর নামকরণ করা হয় রোম নগরী।
- সাতটি পর্বত শ্রেণির উপর অবস্থিত তাই- সাতটি পর্বতের নগরী বলা হয়।
- বিখ্যাত সম্রাট জুলিয়াস সিজার রোমের সম্রাট হন খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ অব্দে।
- জুলিয়াস সিজার খ্রিস্টপূর্ব ৫৫ অব্দে সহজে ব্রিটেন দখল করে বলেছিলেন- “ভিনি, ভিডি,ভিসি।অর্থ: এলাম, দেখলাম, জয় করলাম।
- জুলিয়াস সিজারকে হত্যা করা হয়- পাম্পেই পর্বদের পাদদেশে।
- প্রধান দেবতা- জুপিটার।
- সর্বশ্রেষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ আবিস্কার- আইন প্রণয়ন।
- Goddess of Love বা ভালোবাসার দেবি- ভেনাস।
হিব্রু সভ্যতা:
- হিব্রু মূলত একটি ভাষার নাম। এর অর্থ নিচ বংশের লোক।
- প্যালেস্টাইনের জেরুজালেম নগরীকে কেন্দ্র করে হিব্রু সভ্যতার বিকাশ ঘটেছিল। বর্তমান ইসরাইলের অধিবাসিরা হিব্রুদের বংশধর।
ইনকা সভ্যতা:
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর দক্ষিনাঞ্চলে এ প্রাচীন সভ্যতাটির বিকাশ ঘটে। এর বিস্তৃতি কাল ১৪৩৮ থেকে ১৫৩৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। ইনকা সভ্যতা ছিল কৃষি নির্ভর এবং তাদের প্রধান ফসল ছিল আলু ও ভুট্টা। ইনকা সম্রাটগণ তাদের বসবাসের জন্য প্রাচীন সপ্তাশ্চর্য মাচুপিচু তৈরি করে। তাদের প্রধান দেবতার নাম ভিরাকোকা; এই দেবতাকে তারা জগৎস্রষ্টা মনে করত। তাদের অন্যতম প্রধান দেবতা ছিল সূর্য দেবতা ইনিতি। ইনতির সন্তান হিসেবে তারা নিজেদেরকে ইনকা বলতো।