জাতীসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা Food and Agriculture Organization (FAO) এবং World Food Program (WFP) যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে Hunger Hotspots Report তুলে ধরেছে। ঐ প্রতিবেদনে তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা অঞ্চল হিসেবে ১৩টি হটস্পট চিহ্নিত করেছে। প্রতিবেদনে আরোও সতর্ক করা হয়েছে পূর্ণমাত্রার জরুরী এবং সমন্বিত আর্ন্তজাতীক প্রচেষ্টা ছাড়া: বিশ্বজুড়ে পাঁচটি তীব্র ক্ষুধাপ্রবণ অঞ্চলের মানুষ আগামী মাসগুলিতে চরম ক্ষুধা ও অনাহারে মৃত্যু ঝুঁকির মুখোমুখি হতে পারে।
১৩টি হটস্পটের মধ্যে ১২ টিতেই তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার প্রধান কারণ হিসেবে সশস্ত্র সহিংসতাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ৫টি তীব্র ক্ষুধার্ত অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে:
- সুদান: সুদানে ২০২৪ সালেই দুভিক্ষ নিশ্চিত করা হয়েছিল। চলমান সংঘাত এবং Ongoing Displacement বা স্থানচ্যুতির কারণে পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে বলে প্রতিবেদনে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে কার্ডফোন এবং দারুফুর অঞ্চলকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
- ফিলিস্তিন: গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়ছে।
- দক্ষিণ সুদান: রাজনৈতিক উত্তেজনা বন্যার ঝুকি এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।
- হাইতি: রেকর্ড মাত্রার গ্যাং সহিংসতা এবং নিরাপত্তাহীনতা অবস্থাকে আরোও জটিলতর করছে।
- মালি: চলমান সংঘাত এবং শস্যের উচ্চমূল্য খাদ্য সংকট তীব্রতর করছে।

জুন থেকে অক্টোবর ২০২৫ সময়ের এই পূর্বাভাসে অন্যান্য উদ্বেগপ্রবণ ক্ষুধার্ত অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে-
- ইয়েমেন
- গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো
- মায়ানমার
- নাইজেরিয়া
- বুরকিনা ফাসো
- চাদ
- সোমালিয়া
- সিরিয়া
তীব্র ক্ষুধাপ্রবণ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত হয়নি কিন্তু নিবিড় পর্যবেক্ষণের দাবি রাখে এরুপ অঞ্চল গুলো হলো:
- আফগানিস্তান
- বাংলাদেশ: কক্সবাজার এবং ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প।
- বলিভিয়া
- কলম্বিয়া
- লেবানন
- ইথিওপিয়া
বিস্তারিত রিপোর্ট: