Wireless Communication:
একাধিক ডিভাইসের মধ্যে কোনরূপ ফিজিকাল কানেকশন বা তার বা ফাইবার অপটিক্সের ব্যবহার ছাড়াই সিগন্যাল বা ডেটা ট্রান্সফার করার পদ্ধতিকে Wireless Communication বলে। ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেমে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি, মাইক্রোওয়েভ, ইনফ্রারেড বা ইলেকট্রোম্যাগনেটিক বা অ্যাকোস্টিক তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়।
আরো তথ্য:
- ওয়্যারলেস কমিউনিকেশনের জনক- ইতালিয় পদার্থবিদ মার্কনি।
- রেডিও বা ওয়্যারলেস আবিষ্কার হয়- ১৯০১ সালে।
- মার্কনি ওয়্যারলেস সিস্টেমে ব্যবহার করেছিলেন- মোর্শ কোড।
- ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেমে প্রয়োজন- দুটি অ্যাক্সেস পয়েন্ট।
- দুটি অ্যাক্সেস পয়েন্ট হলো- মোবাইল নেটওয়ার্ক ও হটস্পট।
- জনপ্রিয় হটস্পট হলো- Bluetooth, Wi-Fi ও Wi- Max
ব্লু টুথ (Bluetooth):
ব্লু টুথ Personal Area Network (PANs) এর একটি প্রকারভেদ। মূলত এটি ক্ষুদ্র পাল্লার ( ১০ থেকে ১০০ মিটার) দূরত্বে যোগাযোগ বা ডাটা আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহৃত একটি ওপেন ওয়্যারলেস প্রটোকল।
সর্ম্পকিত তথ্য:
- ব্লু টুথ উদ্ভাবনকারী প্রতিষ্ঠান- সুইডিশ টেলিকম ভেন্ডার এরিকসন (Ericson)।
- Bluetooth উদ্ভাবনের সাল- ১৯৯৪।
- ব্লু টুথ ডাটা স্থানান্তর করে- রেডিও ওয়েভ পদ্ধতিতে।
- Bluetooth ডেভল্যাপমেন্ট/ তত্ত্বাবধানকারী প্রতিষ্ঠান- SIG (Special Internet Group)
- ব্লু টুথ প্রযুক্তির মাধ্যমে যে নেটওর্য়াক স্থাপন করা হয় তাকে বলে- পিকোনেট।
- একাধিক পিকোনেট মিলে তৈরি করে- স্কাটারনেট।
- ব্লু টুথ নামটি প্রস্তাব করেন- ইন্টেলের জিম কার্ডাচ।
- ব্লু টুথ নামকরণ করা হয়- 10 শতকের ডেনিশ রাজা হ্যারল্ড ব্লুটুথ (Harold Bluetooth) এর নামানুসারে।
- ব্লু টুথ- এর ব্যান্ডউইথ বা ট্রান্সফার রেট-2.402GHz- 2.408GHz
- Bluetooth Special Internet Group- এর সদস্য সংখ্যা: 35000 এর বেশি কোম্পানী।
ওয়াইফাই (Wi-Fi):
Wi-Fi ইন্টারনেট সরবরাহের একটি উচ্চ গতিসম্পন্ন ওয়্যারলেস প্রযুক্তি যার সাহয্যে রেডিও ওয়েভ ব্যবহার করে ডাটা আদান-প্রদান করা যায়। এই প্রযুক্তিটি বাসাবাড়ি, ছোট অফিস, কফি-সপ, হোটেল, এয়ারপোর্ট প্রভৃতি পাবলিক প্লেসে ব্যবহৃত একটি জনপ্রিয় Local Area Network প্রটোকল।
সর্ম্পকিত তথ্য:
- Wi-Fi এর স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান- Wi-Fi Alliance
- Wi-Fi একটি ট্রেডমার্ক যা দ্বারা IEEE 802.11x স্ট্যান্ডার্ডের যে কোন Wireless Local Area Network (WALN) যন্ত্রপাতিকে নির্দেশ করে।
- Wi-Fi এর ফ্রিকোয়েন্সি- 2.4GHz(120mm) – 5GHz(60mm)
- কার্য ক্ষমতা- 50- 100 মিটার পর্যন্ত।
- Wi-Fi এর সদস্য সংখ্যা- ৮০০ টির বেশি কোম্পানী।
- ওয়াইফাই সবচেয়ে ভালো কাজ করে- লাইন-অব-সাইট ব্যবহারে।
- ওয়াইফাই এর বানিজ্যিক অগ্রগতি আসে- 1999 সালে অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড তাদের iBook সিরিজের ল্যপটপের জন্য Wi-Fi ব্যবহারের মাধ্যমে।
ওয়াই-ম্যাক্স (Wi-MAX):
Wi-Max হচ্ছে শেষ মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত একটি দ্রুতগতির তার বিহীন ব্রডব্যান্ড যোগাযোগ ব্যবস্থা যা প্রচলিত কেবল বা DSL (Digital Subscriber Line) এর বিকল্প একটি প্রযুক্তি। Wi-MAX এর পূর্ণরুপ হলো: Worldwide Interoperability for Microwave Access.
সর্ম্পকিত তথ্য:
- Wi-Max, বা Worldwide Interoperability for Microwave Access, একটি দ্রুত এবং কার্যকরী ওয়্যারলেস যোগাযোগ প্রযুক্তি, যা 1990-এর দশকের শেষভাগে বিকাশ শুরু করে। এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল উচ্চ গতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সার্ভিস প্রদান করা, বিশেষত তড়িৎ সংযোগের মাধ্যমে। সাধারন Wi-Fi প্রযুক্তির তুলনায়, Wi-Max দুর্বল সিগন্যাল ক্ষেত্রেও দারুণ কার্যকরী হয়ে ওঠে।
- ২০০১ সালে IEEE 802.16 স্ট্যান্ডার্ড প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে Wi-Max প্রযুক্তির প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এটি মূলত একাধিক ব্যবহারকারীর জন্য সেবা প্রদান করার লক্ষ্যে নির্মিত হয়েছিল।
- ২০০৫ সালে Wi-Max ফোরাম প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা Wi-Max এর মূল বৈশিষ্ট্য ও পারফরম্যান্স উন্নয়নের জন্য কাজ করে। এই সময়ে, বিভিন্ন নির্মাতা এবং গবেষকরা Wi-Max প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং বাস্তবায়নের জন্য একত্রিত হয়।
- ২০০৬ সালে, প্রথম Wi-Max সার্ভিস চালু হয়, যার মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সুবিধা গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলে দ্রুত পৌঁছাতে সক্ষম হয়। তাছাড়া, ২০০৭ সালে Wi-Max 802.16e স্ট্যান্ডার্ড চালু হয়, যা মোবাইল সংযোগের সুবিধা প্রদান করে।
- ২০১১ সালে, Wi-Max প্রযুক্তিটি কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়, কারণ LTE (Long-Term Evolution) প্রযুক্তি দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে। যদিও Wi-Max-এর কিছু জায়গায় এখনও ব্যবহার হচ্ছে, এটি ধীরে ধীরে বাজার থেকে ইভেন্টার গতি হারাতে থাকে। বর্তমানে, Wi-Max প্রযুক্তি কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে যেমন দূরবর্তী ও গ্রামীণ এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হচ্ছে।
- যদিও Wi-Max প্রযুক্তির প্রচুর সুবিধা রয়েছে, কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এটি আবহাওয়া পরিস্থিতির প্রতি সংবেদনশীল, এবং বৃষ্টির সময় সিগন্যাল শক্তি দুর্বল হতে পারে। এছাড়া, শহরাঞ্চলে সিগন্যাল ম্লান হতে পারে বড় বড় ভবনের কারণে। তবে, নিউটন-ফাইভ-প্রান্ত, সেবা প্রদানকারী দ্বারা উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এই সীমাবদ্ধতাগুলোকে মেটানোর প্রচেষ্টা চলছে।